সাকিবের পা ধরেও ক্ষমা পাননি শিশিরকে কটূক্তিকারীর মা !
সংবাদপত্র, অনলাইন মিডিয়া এবং টেলিভিশনে দেশের কোথাও না কোথাও নারীর শ্লীলতাহানির কোনো না কোনো খবর আসছে। কেউ মনযোগ দিয়ে তা জানছে, কেউ জানার পর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে, আবার কেউবা থাকছে নীরব। যেখানে একজন নারীর প্রতি অসম্মানে ফুঁসে উঠছেন অনেকে, সেখানে একজন মায়ের প্রতি অসম্মানে কী হওয়া উচিত, তা চিন্তার দাবি রাখে। আর যখন সেই অপমানটা যখন এমন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে আসে, যিনি দেশকে উপস্থাপন করেন বিশ্বদরবারে, তখন তো তা গভীর ভাবনার বিষয়। বর্তমান বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেট প্রতিভা সাকিব আল হাসানের কাছে এমনই এক ব্যবহার পেয়েছেন একজন মা।
গত ১৬ জুন চলছিল সফররত ভারতের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশের একদিনের ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচের মাঝেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি।
ম্যাচচলাকালীন সময় গ্যালারিতেই উপস্থিত ছিলেন সাকিবের স্ত্রী শিশির। ম্যাচ
বন্ধ থাকাকালীন সময় তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রীকে কটূক্তি করেছে কয়েকটি
বখাটে ছেলে। এরপর আর কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি চলে আসেন
গ্যালারিতে। এক দর্শককে পিটিয়ে গুরুতর আহতও করেন সাকিব। শুধু মারপিট করেই
ক্ষান্ত থাকেননি সাকিব। সেদিনই মামলাও করেন তিনি।
এরই প্রেক্ষিতে ঘটনা মীমাংসার জন্য সেই
ছেলের মা খেলা চলাকালীনই তার ছেলেকে নিয়ে হোটেল সোনারগাঁয়ে গিয়েছিলেন
সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে। বাংলাদেশ দল সে সময় এই হোটেলে অবস্থান করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা যায়, সাকিব নিচে নেমে আসার পর ছেলের মা তার
দিকে এগিয়ে যান। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মীমাংসার কথা বলেন। কিন্তু
সাকিব কিছুতেই নমনীয় হননি। পরে তিনি একপর্যায়ে সবার সামনে সাকিবের পা ধরে
তার ছেলেকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আকুতি করেন। কিন্তু তাতেও সাকিবের মন
গলেনি। সাকিব ঝাড়া দিয়ে তার পা ছাড়িয়ে নিয়ে ‘এমন ছেলের জেলে যাওয়াই উচিত’
বলে মন্তব্য করে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে স্থান ত্যাগ করেন।
সাকিবের এরকম ধৃষ্টতায় উপস্থিত অনেকেই
অবাক হয়ে যান। তাদের অনেকেই বলাবলি করতে থাকেন, যে কোনো ঘটনার সমাধান আছে।
একজন মা তার ছেলের বয়সী সাকিবের পা ধরার পরও সাকিবের এ রকম আচরণ করা ঠিক
হয়নি। সাকিব এ কাজ করে মায়ের জাতিকে অপমান করেছে। সে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে
কিন্তু আচার-ব্যবহার শেখেনি। তার পিতা-মাতা তাকে শিষ্টাচার শেখাননি। সাকিব
এ কাজ করে ওপরে ওঠেনি। আরও নিচে নেমেছে!
No comments:
Post a Comment