শীর্ষস্থানই কাল মালয়েশিয়ার!
সেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স এখন করুণ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এয়ারলাইন্স শিল্পের সমালোচকদের কাছে এখন একটিই প্রশ্ন, কেন বার বার মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স?
গত ৮ মার্চ এমএইচ-৩৭০ ট্রাজেডি এই বিমান সংস্থাটির সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। ওই দুর্ঘটনার পর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রী সংখ্যা কমে যায় ৩০ শতাংশ। এরপর মালয়েশিয়ার সরকার এয়ারলাইন্সকে বন্ধ করে নতুন একটি এয়ারলাইন্স খোলার চিন্তা-ভাবনা করছিলো। কিন্তু আগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মাত্র চার মাসের মধ্যে হানা দিল আরো একটি বড় দুর্ঘটনা। আগেরবার উড়োজাহাজ খুঁজে পাওয়া যায়নি; এবার পাওয়া গেছে। তবে ধ্বংসাবশেষ, আর ২৯৮ আরোহীর লাশ। ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভূপতিত হয়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ করেছেন ভয়াবহ তথ্য। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের সাথে ঘটে যাওয়া দু'টি দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে? স্বনামধন্য ও এশিয়ার বৃহৎ এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া একটি বিমান সংস্থাকে গুড়িয়ে দিতেই নীল নকশা করেছে একটি কূটমহল। এসব ঘটনার সাথে এশিয়া ও পশ্চিমা এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর কোন যোগাসাজস আছে কিনা তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, এমিরেটস ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্স বর্তমানে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের বাজারে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। ফলে এই সংস্থাগুলোর লাভের পাল্লাও দিন দিন বেড়ে চলছে। যেখানে পশ্চিমা এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে এয়ার ফ্রান্স, লুফথানসা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স শিল্পে টিকে থাকতে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে। এছাড়া দিন দিন তাদের বিমান পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কমছে মুনাফা।
অপরদিকে এশিয়ার এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ায় বিশাল এয়ারলাইন্স সাম্রাজ্যে রুপান্তরিত করেছে। তাই বিশ্লেষকরা এখন সন্দেহ করছেন, পশ্চিমা কোনো কূটচালের শিকার হয়েছে কিনা মালয়েশিয়ার এয়ারলাইন্স!
আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স বেশ কয়েকটি পশ্চিমা এয়ারলাইন্সকে ছাপিয়ে নিজেদের অবস্থানলে পাকাপোক্ত করেছে। তাই এ সকল ঘটনার পেছনে পশ্চিমা ইন্ধনের একটি রহস্য নেহাতই উড়িয়ে দেয়ার মত নয়। এশিয়ার এয়ারলাইন্সগুলোর উন্নতি হচ্ছে বিষ্ময়করভাবে। ফলে মার খাচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকার এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশ্বের বৃহৎ এয়ারলাইন্স পর্যবেক্ষক স্কাইট্রেক্স। যারা এয়ারলাইন্স কোম্পানির ফ্লাইট পরিচালনার ওপর বিভিন্ন দিক নিয়ে আন্তর্জাতিক রেটিং করে থাকে। আসন ব্যবস্থা, ফ্লাইটের মধ্যে বিনোদন, ফ্লাইটের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবারের মান এবং সার্ভিস -এসব দিক বিবেচনা করে তারা রেটিং করে। তাদের করা বিশ্বের সেরা ২০ এয়ারলাইন্সের রেটিংয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স বর্তমানে যুগ্মভাবে ভার্জিন আমেরিকা এয়ারলাইন্সের সাথে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর প্রথম স্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক শীর্ষ স্থানীয় বিমান সংস্থা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। যারা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সকে তাদের ইন ফ্লাইট পারফরমেন্সের বিচারে রেটিং করেছে ৯০ পয়েন্ট, আর অন টাইম পারফরমেন্স হিসেবে রেটিং করেছে ৭৪ পয়েন্ট।
অপরদিকে ভার্জিন আমেরিকার এয়ারলাইন্সের ইন ফ্লাইট রেটিং ৮০ পয়েন্ট ও অন টাইম রেটিং পয়েন্ট ৭০। যা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স থেকে নিচের দিকে রয়েছে। এতেই বোঝা যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের শ্রেষ্ঠত্ত্বের বিচারে বিশ্বের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশের এয়ারলাইন্সের সাথে কঠিন লড়াইয়ে রয়েছে। এছাড়া গ্লোবাল এয়ারলাইন্স রেটিংয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের সেফটি রেটিং ফাইভ স্টারের মধ্যে ফাইভ স্টার রয়েছে এবং প্রোডাক্ট রেটিংয়ে সেভেন স্টারের মধ্যে ৬.৫ স্টার এ অবস্থান করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত চার মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দুটি বিমান বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ার ফলে সংস্থাটি ভবিষতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। পুঁজিবাজারে এই বিমান সংস্থাটির দর ১১ ভাগ কমে গেছে। এছাড়া বিমান বিধ্বস্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে রাশিয়া, ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়ায় এশিয়ার বেশ কয়েকটি পুঁজিবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ-৭০ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় বিপর্যয়। পর পর দুটি বড় দুর্ঘটনায় এয়ারলাইন্সটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের অর্থায়নকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা বর্টান্ড গ্রাবাউস্কি বলেন, যদিও ব্যাপারটি পুরোপুরিই কাকতালীয়। কিন্তু এমনটা ইতিহাসে কখনও হয়নি। কয়েক মাসের ব্যবধানে একই পতাকাবাহী দুটি বিমান এমন বড় দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েনি। তবে সমস্যা উত্তরণে দেশটির সরকারের আরো দৃঢ় এবং ব্যাপক সহযোগিতা প্রয়োজন।
জানা গেছে, চলতি ২০১৪ সালে মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে দুইটি বিমান দূর্ঘটনার ফলে প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৩৭.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ হারিয়ে যাওয়ার পর শেয়ার বাজারে এয়ারলাইন্সটির ২০ শতাংশ শেয়ার কমে গেছে। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ। এরপর গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের আকাশে আরেকটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ জনের প্রাণহানির পর থেকে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন সেদিকেই। বিমানে ভ্রমণ করা যাত্রীরা এখন এই এয়ারলাইন্সটিকে কুফা বলে অভিহিত করছে।
এদিকে উড়োজাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে কি না তা তদন্তদল বা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করার আগেই শুরু হয়েছে দোষারোপের রাজনীতি। বিক্ষিপ্তভাবে নানা তথ্য-প্রমাণ সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করার পাশাপাশি এক পক্ষ আরেক পক্ষকে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা-বিচারের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগের তীর কৌশলগতভাবে প্রতিপক্ষ রাশিয়ার দিকে, যদিও হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়াও। মূলত পশ্চিমা গণমাধ্যমের আধিপত্যের কারণে আসল সত্য জানা অনেকটা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এ ঘটনাকে অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করছেন।
তাদের মতে, ইউক্রেনেএমএইচ-১৭ ফ্লাইটের ওপর হামলায় শুধু ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নয়, বরং এর সাথে ব্যবসায়িক একটি প্রভাবও রয়েছে। এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিবিএস টিভি নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বেসামরিক যাত্রীবাহী বিমানে হামলাকে গেম চেঞ্জার (পরিবর্তন সৃষ্টিকারী) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তবে এটি আসলে ঠিক কিসের পরিবর্তন সৃষ্টিকারী বা গেম চেঞ্জার এর আভাস তা নিয়ে ভাবত করেছে বিশ্লেষকদের।
সিবিএস নিউজের জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক হুয়ান জারাটে বলেন, এটি ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চলমান সংঘাতের গেম চেঞ্জার হলেও এটি এখন আর কেবল ইউক্রেন বা প্রাচ্য অথবা ক্রিমিয়া কিংবা রাশিয়া বিষয়ক সমস্যা নয় এটি এখন এক আন্তর্জাতিক সমস্যা।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান ধ্বংসের জন্য ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র কোন পক্ষ ছুড়েছিল তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এর দায়ভার রাশিয়ার ওপরও চাপছে। কারণ রাশিয়া তাদের পন্থী ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে।
হুয়ান জারাটে বলেন, ওই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ক্ষমতা বাড়ানোর দায় রাশিয়ার ওপর পড়লেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় ওই দেশটির সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আগামী দিনগুলোতে প্রেক্ষাপট আমাদের ভাবনাকে যেখানেই নিয়ে যাক না কেন, বাস্তবতা হলো এর মধ্যে রাশিয়া থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সংবাদমাধ্যম পিবিএসের এক প্রতিবেদনে নিরাপত্তা ও ইরাক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চার্লস ডুয়েলফার বলেন, মালয়েশিয়ার বিমানটিতে হামলা ছিল সমন্বিত ও একনিষ্ঠ চেষ্টা। এ ধরনের হামলার জন্য কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমানের গতিপথ সম্পর্কে জানতে হয় এবং ওই পর্যায়ের উচ্চতায় (১০ হাজার ফুট) পৌঁছানোর ক্ষমতা থাকতে হয়। সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণত তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার ফুট পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। যদি ওই বিমানটি হামলায় ভূপাতিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয় তবে প্রশ্ন আসবে, এমন হামলার ক্ষমতা কাদের আছে?
ওই অঞ্চলে কার এমন হামলা চালানোর ক্ষমতা আছে- এ প্রসঙ্গে চার্লস ডুয়েলফার বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় দেশেরই আছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এমন অস্ত্র দিতে পারে কি না- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি যৌক্তিক নয়। ইউক্রেনের পক্ষত্যাগী কমান্ডাররা ওই অস্ত্র আগেই পেয়েছেন- এমন যুক্তি তুলে রাশিয়া এর দায় প্রত্যাখ্যান করতে পারে। বিদ্রোহীদের হাতে এসব অস্ত্র তুলে দেওয়া রাশিয়ার জন্য যৌক্তিক নয়। কারণ, পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেটা বুমেরাং হতে পারে।
ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য স্পেকটেটর প্রকাশ করে অতীতে যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ইতিহাস। এতে দেখা যায়, ভুল করে বা ইচ্ছা করে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত ৬০ বছরে এ ধরনের ঘটনা অন্তত চারবার ঘটেছে। সামরিক বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অতীতে বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস ও আরোহীদের প্রাণহানি ঘটলেও ইউক্রেনে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ার বিমানের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অতীতে এ ধরনের ঘটনায় ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এবারের পরিস্থিতি জটিল। কোন পক্ষের হামলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা ইউক্রেন বাহিনী এ হামলায় জড়িত। আবার তৃতীয় কোনো স্বার্থান্বেষী মহলও সন্দেহের তালিকায় আছে!
প্রসঙ্গত, বিমান সংস্থাটি ১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স লিমিটেড এ নামকরণ করার কিছুদিনের মধ্যেই বরনিও এয়ারলাইন্সের সাথে একিভূত হয়। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুর থেকে আলাদা হওয়ার পর নতুন লোগো মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স নিয়ে বাই নেশানাল বিমান সংস্থা পরিণত হয়। যার নাম হয় মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। এ সময় সংস্থাটি পার্থ, তাইপে, রোম ও লন্ডন রুটে বিমান পরিচালনা শুরু করে। ১৯৭২ সালে সিঙ্গাপুরের সাথে অংশিদারিত্ব বিলুপ্ত করে বর্তমান মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স লিমিটেড নামকরণ করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স নতুন একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সালের ১ অক্টোবর আবারো আকাশে উড়ে। এই সময়ই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স একটি ব্যান্ডেড এয়ারলাইন্স হিসেবে আর্বিভূত হয় এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিমান সংস্থাটি বর্তমানে বিশ্বের ৮৫০টি রুটে এবং ১৫০টি দেশের সাথে বিমান যোগাযোগ সৃষ্টি করেছে। যা এশিয়ার বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি ঈর্ষনীয় সাফল্য। বিমান সংস্থাটির দীর্ঘ শ্রেষ্ঠত্ত্বেরও রেকর্ড নিয়ে গত এক দশকে এশিয়া ও ইউরোপের বিমান পরিচালনায় ১০০টিও বেশী পুরস্কার লাভ করেছে।
No comments:
Post a Comment