সংবাদটি প্রকাশ করার পরেই পাঠকের নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়াযুক্ত মন্তব্য আসতে শুরু করে, একজন মন্তব্যে বলেন-

সংবাদটি  প্রকাশ করার পরেই পাঠকের নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়াযুক্ত মন্তব্য আসতে শুরু করে, রাজীব পারভেজ নামের একজন মন্তব্যে বলেন, 

‘ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরিয়ে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে’ এটা কি আসমান থেকে ওহির মাধ্যমে পেয়েছেন  ?

কোন আঃ লীগ নেতার উদ্ধৃতি ছাড়া এই সংবাদ কি করে বস্তুনিষ্ঠ হতে পারে ?  নাকি উস্কানি দেয়ার মানসিকতায় শুধু সংবাদ ছাপেন আপনারা ?

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর  চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরিয়ে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে একটি ট্যাবলয়েড দৈনিক ।

প্রকাশিত সংবাদে এই পরিকল্পনার বিষয়ে আঃ লীগের কোন নীতি- নির্ধারকের উদ্ধৃতিও দেয়নি পত্রিকাটি ।

পত্রিকাটি তাদের খবরে জানায়, ‘ জিয়াউর রহমান ’৮১ সালের ৩০শে মে ভোর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন কতিপয় বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে। তার লাশ গোপনে কবর দেয়া হয় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছে প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি এলাকায়। পরে সেনাবাহিনী লাশের সন্ধান পায়। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করা হয়। এর পর বিমানযোগে ঢাকায় এনে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় বর্তমান চন্দ্রিমা উদ্যানে।’

অন্যদিকে জিয়ার লাশের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ দেশের অধিকাংশ  জনগন বরাবরই অবশ্য বরাবরই দাবী করে সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে বলে আসছে  ‘ জিয়ার লাশ কোথাও পাওয়া যায়নি। কেউ দেখেওনি জিয়ার লাশ । ’

এরপর  ৯৬ সনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ শেরেবাংলা নগরের বোটানিক্যাল গার্ডেন জিয়া উদ্যানকে ফিরিয়ে নেয় আগের ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ নামে।

উল্লেখ্য, জিয়ার মাজারটি সরানোর মহাপরিকল্পনা আঃ লীগের নীতিনির্ধারক মহলের বেশ কিছুদিন ধরেই । গত ১৭ই জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে।এর পর থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলে এই পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় বলে সুত্র জানিয়েছে ।