Tuesday 22 July 2014

প্রয়োজনে সমগ্র গাজা দখলের হুমকি ইসরাইলের !



প্রয়োজনে সমগ্র গাজা দখলের হুমকি ইসরাইলের !




israel-palestine_10264

ইসরাইল নিহতের সংখ্যা ৬শ’ অতিক্রম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে শত শত মানুষ হত্যার পরেও ইসরাইলের পক্ষ থেকে দম্ভ করে বলা হয়েছে যে, যদি দরকার পড়ে তবে সমগ্র গাজা দখল করা হবে। এদিকে, ইসরাইলের বিমান ও স্থলপথের দ্বিমুখি হামলায় গতকাল মঙ্গলবার আরো ২৫ জন নিহত হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘসহ সহ গোট বিশ্ব থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতিতে পৌছানোর আহ্বান জানানোর পরেও ইসরাইলের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যে শান্তিপ্রিয় মানুষের মনে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটেনের মেইল অনলাইন জানায়, ইসরাইলের যোগাযোগ মন্ত্রী গিলাড এরডান বলেছেন, তাদের সেনারা অবশ্যই হামলা চালিয়ে যাবে। শিঘ্রই যুদ্ধবিরতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বরেন, ফিলিস্তিনিরা যেসব টানেল ব্যবহার করে ইসরাইলে ঢোকার চেষ্টা করে সেগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত তাদের সেনারা থামবে না। এরডান আরো বলেন, ‘গাজা থেকে অস্ত্রধারীরা চলে যাবে এমন নিশ্চয়তা কিভাবে পাব। তাই তাদের নিরস্ত্র করতে আমাদের সেনাদের কিছুদিন গাজা ও সীমান্ত এলাকায় থাকতে হবে। সন্ত্রাসীদের নির্মুল করার প্রয়োজনে আমরা পুরো গাজা দখল করব।’
এদিকে, গাজায় অস্ত্রবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। আর এ লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি মিসরের রাজধানী কায়রোতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কেরি বলেছেন, ফিলিস্তিনে প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তবে ইসরাইলের ‘যথার্থ ও বৈধ সামরিক অভিযানের’ প্রতি তার সমর্থনের কথাও জানান। তিনি বলেন, গাজায় অবিলম্বে মানবিক সংকট হরাসের লক্ষ্যে ৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।



এএফপি জানায়, গাজায় ইসরাইলি হামলার পর গত দুই সপ্তাহে সংঘর্ষে প্রায় ৬শ’ ফিলিস্তিনি ও ২৯ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইল গতকাল বলেছে, তাদের আরো দুই সৈন্য নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় শুরু হওয়া স্থল অভিযানের পর গতকাল পর্যন্ত ইসরাইলের ২৭ সেনা নিহত হলো। এছাড়া হামাসের রকেট হামলায় আরো দুই বেসামরিক ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
সমপ্রতি দখলকৃত পশ্চিম তীরে তিন ইসরাইলি কিশোর ও জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি তিন কিশোরকে হত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করা হয়। তবে হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। এর কয়েকদিন পর পূর্ব জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ৬ ইহুদীকে আটক করে। এরপর মূলত ইসরাইল ও হামাস পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করে। গাজা থেকে ইসরাইলে জঙ্গিদের রকেট হামলা বন্ধে তেলআবিব কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বিমান হামলা ও নৌঘাঁটি থেকে গোলাবর্ষণের পর বৃহস্পতিবার থেকে স্থল অভিযান শুরু করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম শুরু করে। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

No comments:

Post a Comment