সোশ্যাল মিডিয়ার দুর্ব্যবহার বন্ধ করায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পর এবার হোয়াটস অ্যাপে মধুচক্রের ব্যবসার নয়া ফর্মুলা বের করেছে দেহব্যবসায়ীরা৷
এই অ্যাপের মাধ্যমেই দেহব্যবসা চলছে রমরমিয়ে৷ এর সাহায্যে দালালরা সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েদের দরদাম ঠিক করে ফেলছে৷
এরপর গ্রাহকের পছন্দের জায়গায় মেয়েদের পাঠিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকদের থেকে৷
গুড়গাঁও পুলিশের জালে বন্দী হাইপ্রোফাইল সেক্স র্যাকেটের তদন্তে নেমে পুলিশ এই ঘটনার কথা জানতে পারে৷
গুড়গাঁও পুলিশের সূত্র অনুযায়ী এই র্যাকেটের দালালরা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেই গ্রাহক খুঁজত৷
মেয়েদের দরদামের সঙ্গে স্থান ও সময় ঠিক করার পর একটি কোডের মাধ্যমে মেয়েদের পাঠানো হত৷ এই র্যাকেটটি প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা করে নিত৷
বিপদের ভয়ে মেয়েদের সঙ্গে সবসময় দুজন করে সঙ্গী থাকত যারা গাড়িতে বসে নজর রাখত৷
হোয়াটস অ্যাপে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে গ্রাহকদের আকর্ষণ করত এই র্যাকেটটি৷ এখানেই শেষ নয় কোন গ্রাহক জবাব দিলে কোডের মাধ্যমে ব্যবসা পাকা করে দিন ঠিক করা হত৷
দালালদের এই নয়া ফর্মূলা সম্পর্কে পুলিশও একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিল না৷ এই কারণেই প্রায় চার বছর ধরে র্যাকেট রাজধানীর বুকে চালিয়ে গেছে মধুচক্র৷
এমনও জানা গেছে এই র্যাকেট ছাড়াও এখনও শহরে বেশ কিছু গ্রুপ ও র্যাকেট সক্রিয় রয়েছে যারা এই একই পদ্ধতিতে মধুচক্রের ব্যবসা চালাচ্ছে৷
এই ঘটনা জানার পর দিল্লি পুলিশ সাইবার সেলকে এই ধরনের গ্রুপের উপর নজর রাখতে বলেছে যেখানে এই ধরনের বেআইনী ব্যবসা চালানো হয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রশাসনের নজর থেকে বাঁচতে বেশ কিছু কোডওয়ার্ডের মাধ্যমে এই বেআইনী র্যাকেট চালানো হচ্ছে৷ বর্তমানে এই বিষয়ে পুলিশের কাছে তেমন কোন তথ্যই নেই৷
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই কোডআয়ার্ডের মধ্যে অন ডিমান্ড সার্ভিস, বডি মাসাজ সেন্টার, বডি মাসাজ সেন্টার অ্যাট হোম ইত্যাদি নামের বেশ কিছু গ্রুপ হোয়াটস অ্যাপে রয়েছে৷ সেখানে গিয়ে খুব সহজেই মেয়েদের ডিল করা যেতে পারে৷
এই গ্রুপের মাধ্যমে ভারতীয় ছাড়াও বিদেশী মেয়েদেরও দাম ও ফটো পাঠানো হয়৷ সূত্র : ওয়েবসাইট
No comments:
Post a Comment