এমনি এমনি কলকাতায় আসিনি - নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দাবি করেছেন, তাঁর জীবনের সংশয় থাকায় তিনি বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালত প্রাঙ্গণে তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে নামার পর সাংবাদিকদের কাছে নূর হোসেন এমনটাই দাবি করেন। আজ স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গী ওহিদুর রহমান ও খান জামানকে ফের আদালতে তোলা হবে। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁদের দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতের হেফাজতখানায় নিয়ে আসা হয়।
নূর হোসেন গত ১৪ জুন গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখনো আদালতে জামিনের প্রার্থনা করেননি। তবে আজ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর আত্মীয়-স্বজন কলকাতায় এলে তিনি জামিনের আবেদন করবেন। এখানে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
৭ জুলাই নূর হোসেনের সঙ্গী খান সুমন জামিনের আবেদন করলেও ১৪ জুলাই মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম মধুমিতা রায় তা খারিজ করেন।
কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের অদূরে বাগুইহাটি থানার কৈখালী এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে গত ১৪ জুন রাতে নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গী খান সুমন ও ওহিদুর জামান শামীম গ্রেপ্তার হন। বাগুইহাটি থানার পুলিশের সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
পরদিন ১৫ জুন নূর হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগী ওহিদুর জামান ও খান সুমনকে বারাসাতের আদালতে তোলা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের আট দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২৩ জুন তাঁদের ফের আদালতে তোলা হয়। মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম মধুমিতা রায় ওই তিনজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে দিয়ে দমদম কেন্দ্রয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ইন্টারপোলে মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের করা আবেদন একই দিন মামলার সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ৭ জুলাই তাঁদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়ে দমদম কারাগারে পাঠান।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে নজরুলের পরিবার।
No comments:
Post a Comment