Sunday 20 July 2014

ফালু, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে সর্বকালের সেরা সেক্স স্ক্যান্ডালের জনক



ফালু, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে সর্বকালের সেরা সেক্স স্ক্যান্ডালের জনক




ছিলেন ফালু, হয়েছেন আজ মোসাদ্দেক আলী ফালু। ৭০’র দশকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের কবরস্থানের দেখাশোনা করার কাজ করা ‘ফালু’ আজ দেশের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র। ঢাকার এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেতা মির্জা আব্বাসের মিটিং মিছিলের লোক সরবরাহ করে তিনি বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কর্মে জড়িয়ে পড়েন।সময়টা এরশাদ khaleda fffffffffffffffffffffffবিরোধী আন্দোলনের, রাজপথে পুলিশী অ্যাকশন প্রতিরোধ করতে সে সময়ের বিএনপির আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর আক্রমন নিজের উপর নিতেই লাইম লাইটে চলে আসেন ফালু। হিন্দী সিনেমার নায়িকার ওপর শত্রুদের অযাচিত আক্রমন প্রতিহত করে যেমন নায়ক বনে যাওয়া যায় ঠিক তেমনি সেদিনের ফালু’র ঐ উদারতা তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নি।হয়েছেন বেগম জিয়ার আত্মার মানুষ ও অতি অবশ্যই প্রেমিক।হয়েছেন তিনি সংসদ সদস্য, দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অশরীরি ক্ষমতাবান চরিত্র। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে থাকা কে অর্থাৎ জিয়াউর রহমানকে  অবমূল্যায়ন করার নেপথ্য নায়ক এই মোসাদ্দেক আলী ফালু। কারণ যে স্বামীর জন্য বেগম জিয়া জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হাল ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন সেই স্বামী কে ভুলে গিয়ে ফালুকে গ্রহণ করার মাধ্যমে দুজনাই জাতি ও দেশের অগনিত জাতীয়তবাদী শক্তির সমর্থকদের প্রতিদিনই ঠকিয়েছেন এবং ঠকাচ্ছেন এই যুগল।আলোচিত এই সেক্স স্ক্যান্ডাল সম্যক দেশের সকল সচেতন শ্রেনীর মানুষের মাঝে ঠোঁটের কোনে একটু হাসি ঘুরে ফিরলেও বিষয়টি বেদনা দায়ক, অস্বস্তিকর ও রাজনৈতিক আদর্শিক বর্জিত পদক্ষেপ বলেই অনুমিত হয়।
এদিকে ২০ জুলাই,২০১৪ বরাবরের মত এবারের রমজানেও উমরাহ পালনের উদ্দ্যেশে দেশ ছাড়বেন বেগম খালেদা জিয়া।এই উমরাহ পালনের ধর্মীয় আইন মোতাবেক বেগম জিয়ার বহু বছরের সঙ্গী হয়ে আসছেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। দেশের প্রচলিত গণ মাধ্যম গেল অযুত বছরের বেগম জিয়া এবং ফালুর উমরাহ পালন নিয়ে কিছু প্রকাশ না করলেও সম্ভবত জননেতা ডট কম এর মাধ্যমে তা প্রথমবারের মত প্রকাশ হচ্ছে।
ইসলাম শরীয়াহ মোতাবেক, উমরাহ পালনের ক্ষেত্রে আর্থিক এবং শারীরিক সামর্থ্য ছাড়াও নারীদের জন্য তৃতীয় একটি শর্ত রয়েছে আর সেটি হলো হজ্জে যাওয়ার জন্য নারীকে একজন khaleda faluমাহরাম নিতে হবে। মাহরাম হতে পারেন স্বীয় স্বামী এবং যার সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ের অনুমতি নেই, অর্থাৎ কখনো ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে বৈধ হবে না, যেমন পিতা, ভ্রাতা, পুত্র প্রমুখ কয়েকজন নির্দিষ্ট আত্মীয় পুরুষ। যাদের মাহরামনেই তাদের হজ্জে যাওয়ার ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নেই। মাহরেম ব্যতীত হজের জন্য নারীদের সৌদী আরবের ভিসা প্রদান করা হয় না। মাহরাম ব্যতীত হজ্জ করা হলে বা মাহরামওয়ালী মহিলার সঙ্গে হজ্বের সফর জায়েজ হবে না। যদি মাহরাম ব্যতীত হজ্ব করতে যায় তাহলে হজ্ব তো আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু মাহরাম ব্যতীত সফরের গোনাহগার হতে হবে।
বার্ডস আই এর অনুসন্ধানে দেখা যায়,  বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মোসাদ্দেক আলী ফালুর অযাচিত ও অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। অভিযোগ আছে, বেগম জিয়া একজন লোভী মানুষ হিসাবে সৌদি বাদশাহ’র উপঢৌকন নিতে এবং ঈদ পূর্ববর্তী স্ফুরতির তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই প্রতিবছর এই ফালুকে নিয়ে উমরাহ পালনে বের হয়ে পড়েন। অন্যদিকে এবারের উমরাহ নিয়ে অনেক আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
বার্ডস আই এর আরেক অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে, ফালুকে জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান জীবনে কখনই মেনে নিতে না পারায় রাজনৈতিক বেশ কিছু গোপনীয়তা রাখতে এবার বেগম জিয়া কে ফালুকে সফর সঙ্গী করতে নিষেধ করেছেন। এখন অপেক্ষা, দীর্ঘদিনের মনের মানুষ কে ছেড়ে বেগম জিয়া উমরাহ পালন করতে পারেন কিনা!
ফালু উত্থান ও কিছু প্রাসঙ্গিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন
বিএনপির সাবেক এই এমপি মোসাদ্দেক আলী ফালু  বেগম জিয়াকে পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে বাচিয়ে এক সময় বিএনপি চেয়াপারসনের বডিগার্ড হয়ে যান অতঃপর তিনি হন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হন। এ সময় তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের নজরে আসেন।
সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হওয়ায় অনেকেই ফালুকে দিয়ে প্রয়োজনীয় ফাইলে সই করিয়ে নেন। এভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপিতে ‘তারকা’ নেতা হন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে চলে যান বিএনপির এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও মাহী বি চৌধুরী। তারা সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মেজর (অব.) মান্নানের ছেড়ে দেয়া আসন তেজগাঁ এ উপনির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফালু। এমপি হওয়ার পর তিনি আরো গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। পরে তিনি একাধিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য মায়ের নামে এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে জনসেবায় মন দেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের অধিক আস্থাভাজন হওয়ায় বিদেশি দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ তার বেড়ে যায়। ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন সুসম্পর্ক।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রিয় মানুষ হওয়ায় প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাতারাতি ব্যবসায় ফুলিয়ে ফাপিয়ে তোলেন তারকা নেতা ফালু। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে বিগত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময়ও ব্যবসার  সদস্য হওয়ার পরও তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গেও ব্যবসায়িক সখ্যতা গড়ে তোলেন। বিদেশি একটি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তার ব্যবসার কলেবর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তিনি শেয়ার ব্যবসা করেও আলোচিত হন। ২০১০ সালে শেয়ার বাজার হঠাৎ করে পড়ে গেলে দেশের ৩২ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পথে বসেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দেশের মানুষ। শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করেন। এরশাদের মতো আনপ্রেডিক্টেবল নেতাও শেয়ারবাজার ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচি দেন। অথচ বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ছিল অনেকটা নীরব। বিএনপির এই নীরবতা রহস্যজনক মনে করেন শেয়ার ব্যবসায়ীরা। পরে জনগণের চাপে ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তদন্ত করা হয়। তদন্তের পর তিনি রিপোর্টও অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী কেলেঙ্কারির হোতাদের নাম দেখে তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জানা যায়, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতাদের তালিকায় তারও নাম ছিল। দেশের মানুষ বুঝে যায় বিএনপি কোনো রহস্যের জন্য শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতাদের বিচারের দাবিতে উচ্চবাচ্য করা থেকে বিরত থাকে। নবম জাতীয় সংসদে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতাদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গ্রেফতার করলে শেয়ার কেলেঙ্কারির সব রহস্য বের হয়ে আসবে। কিন্তু সেটাও হয়নি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে টেলিভিশনের মালিকরা ‘টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ গঠন করে। সরকারের আস্থাভাজন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টেলিভিশন মালিকদের সংগঠনের সভাপতি হতে না পারলেও মোসাদ্দেক আলী ফালুকে ওই সংগঠনের সভাপতি করা হয়। অথচ এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন কামাল আহমদ মজুমদার এমপি, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, গোলাম দস্তগীর গাজী, একে আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনখ্যাত ড, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। এদের কেউ সভাপতি না হতে পারলেও জাদুবলেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মোসাদ্দেক আলী ফালু সংগঠনের সভাপতি হন।
অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিদেশে অবস্থানরত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থানীয় কমিটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শত শত নেতা বার বার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করছেন। এমনকি একেকজন নেতার বিরুদ্ধে ২০/২২টা থেকে ১২০টি পর্যন্ত মামলা করা হয়। প্রায় প্রতিদিন বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ না কেউ আদালতে যাচ্ছেন। বর্তমানে বেশ কয়েকজন কারাগারে রয়েছে। অথচ একমাত্র সৌভাগ্যবান হলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকার পরও শুধু বিদেশি একটি দূতাবাসের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় নির্বিঘণে দেশ-বিদেশে ঘুরছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি মাসের বেশির ভাগ সময় এখন বিদেশে থাকেন। দেশে থাকলে বিদেশি দূতাবাসগুলোতে তার অবাধ যাতায়াত। ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের আগে আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি সব খবর রাখি। বেগম খালেদা জিয়া কখন কি করেন, তিনি কখন কি তরকারি দিয়ে ভাত খান সে খবর আমার কাছে আছে। বিএনপির অনেক নেতাই সে সময় কানাঘুষা করেন যে, এই সূত্রধর হচ্ছেন মোসাদ্দেক আলী ফালু।
সূত্রমতে, সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা না গেলেও ফালু বিএনপির রাজনীতির আসল ‘তারকা’। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া এবং শীর্ষ নেত্রীর সুদৃষ্টি পেতে ফালুর সুপারিশের বিকল্প নেই। ছাত্রদল থেকে শুরু করে সব অঙ্গ সংগঠনের প্রায় একই অবস্থা।কেন্দ্রের প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা পদ-পদবি আর সুপারিশের জন্য ছোটেন তার কাছে।
১/১১ সরকারে গ্রেফতার ও চাঞ্চল্যকর তথ্য
১/১১ সরকারের মেয়াদে মোসাদ্দেক আলী ফালু গ্রেফতার হন। সে সময় দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিকে তার ও বেগম খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিন নামা প্রকাশিত হলেও মুলত ৪ দলীয় জোট সরকারের দুর্নীতির তথ্য দিতে শুরু করতে থাকেন এই ফালু।
বিভিন্ন ধরনের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলেন,বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বিএনপিতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। ক্ষমতায় থাকার সময় এঁরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেছেন।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে ফালু ঐ সময় আরও জানান, ওরিয়ন গ্রুপের কাছ থেকেও তিনি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। নিজের পত্রিকা ও টেলিভিশন চালানোর কথা বলে এসব টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব খাতে এত টাকা খরচ করেননি। ওরিয়ন গ্রুপের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ কত, তা নিশ্চিত করে বলেননি তিনি। এ টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি কি না−প্রশ্ন করা হলে ফালু পরিমাণ স্বীকার করেননি বলে জানা গিয়েছিল।
সে সময় সাবেক সাংসদ ফালুকে ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবারের মতো তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সে সময় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদে মোসাদ্দেক আলী ফালু কোনো কিছুই স্বীকার করতে চাননি। পরে কয়েক দফা জেরার জবাবে তিনি কিছু তথ্য প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দাদের জেরার জবাবে ফালু ব্যবসায়ী নূর আলীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। নূর আলী আগেই গোয়েন্দাদের এ তথ্য দিয়েছিলেন।  ফালু এর সত্যতা স্বীকার করে নেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়ার কথাও তিনি জানান। ফালু জিজ্ঞাসাবাদ সেলকে জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান তাঁকে নিয়মিত টাকা দিতেন। ক্ষমতা  ছাড়ার আগে সর্বশেষ সুফিয়ান পাঁচ লাখ টাকা দেন।
সূত্র গুলো সে সময় অবহিত করে, জিজ্ঞাসাবাদে ফালুর কাছ থেকে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক কারা, তাঁরা কীভাবে মালিক হলেন, প্রতিষ্ঠান তৈরির অর্থের উৎসসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন করা হয় বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ফালু ধীরে ধীরে সে সময় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে শুরু করেন। বেগম জিয়া ও তাঁর মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, যার অডিও টেপ দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে।
সম্পাদনাঃ জননেতা ডট কম।

No comments:

Post a Comment